The Best Italy bn
The Best Italy bn
EccellenzeExperienceInformazioni

বেসিলিকাটা

বেসিলিকাটা পার্বত্য অঞ্চলটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত, যেখানে ইতিহাস ও প্রকৃতি একত্রিত হয়েছে।

বেসিলিকাটা

বেসিলিকাটা একটি অপ্রকাশ্য রত্ন, যা তার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এখানকার পাহাড়গুলো গভীর সবুজে ঢাকা, যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় প্রকৃতি যেন এক অপূর্ব ক্যানভাস সৃষ্টি করে। এ অঞ্চলের গ্রামগুলি ছোট ও চমৎকার, যেখানে আপনি পাবেন ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান এবং স্থানীয় মানুষের আতিথেয়তা। বেসিলিকাটার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হলো তার প্রাচীন গ্রাম এবং শহরগুলো, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন প্রাচীন সরাই, পাথর দিয়ে নির্মিত বাড়িঘর এবং চমৎকার চার্চগুলো। এখানকার খাদ্যসংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ, যেখানে স্থানীয় উপাদান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকমের ঝাল ও সুস্বাদু খাবার উপভোগ করতে পারবেন। সিমন্তি বা পিরেগির মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো এখানে জীবন্ত হয়ে ওঠে, যেখানে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনের গভীরতা অনুভব করতে পারেন। এছাড়া, বেসিলিকাটার সমুদ্রতটগুলি শান্ত ও পবিত্র, যেখানে আপনি সূর্যস্নান ও স্নরকেলিং উপভোগ করতে পারবেন। এই অঞ্চলের অনন্য বৈচিত্র্য এবং স্নিগ্ধ পরিবেশ আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে এবং আপনার হৃদয়ে এক অপ্রতিরোধ্য স্মৃতি রচনা করবে। বেসিলিকাটা সত্যিই একটি স্থান, যেখানে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস একসঙ্গে মিলিত হয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

বাসিলিকা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

বাসিলিকা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব এবং মনোরম। এই অঞ্চলটি তার বিস্ময়কর পাহাড়ি দৃশ্যাবলী, অর্চনীয় নদী এবং সবুজ ভোরের পরিবেশের জন্য পরিচিত। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য এখানে চোখে পড়ার মতো, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন বিস্তৃত গ্রাম্য এলাকা, উঁচু পর্বত শৃঙ্গ, এবং প্রাকৃতিক জলাধার। বাসিলিকা এর পাহাড়ি অঞ্চলগুলি প্রাকৃতিক ট্রেকিং এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়, যেখানে দর্শকরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার সুযোগ পান। নদীগুলি, যেমন ব্রান্তো নদী, তাদের শীতল জলের জন্য বিখ্যাত এবং স্বচ্ছ জলাধারগুলির মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, যা জেলেদের ও জলপর্যটকদের জন্য আদর্শ। এ ছাড়াও, এই অঞ্চলটির প্রাকৃতিক পার্কগুলো আত্মমগ্নতা এবং শান্তির জন্য এক অনন্য গন্তব্য। পাহাড়ের উপরে অবস্থিত ছোট ছোট গ্রামগুলি, যেখানে পারমুক্কির গ্রামগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। বনাঞ্চল এবং অরণ্য এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রাণী এবং উদ্ভিদ দেখা যায়। এই সব প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য একসাথে বাসিলিকা এর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে, যা পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে।

মার্জিত পেট্রোলো শহর রেজিয়ো

রেজিয়ো, যা সাধারণত মার্জিত পেট্রোলো শহর হিসেবে পরিচিত, এটি ইটালির বাজিলিকাতা অঞ্চলের এক অনন্য নিদর্শন। এই শহরটি তার শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, সূক্ষ্ম স্থাপত্যকলা এবং আধুনিক জীবনধারার সম্মিলনে এক অসাধারণ মিলনস্থল। শহরটির মূল আকর্ষণ হলো এর প্রাচীন কেন্দ্র, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন শৈল্পিক চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য সমৃদ্ধ প্রাচীন ভবনরেজিয়ো এর পেট্রোলো রঙের ভবনগুলি, যা সূর্যাস্তের আলোতে ঝলমলে দেখায়, শহরটিকে এক বিশেষ ধরণে মার্জিত ও মনোমুগ্ধকর করে তোলে। এখানকার সড়কগুলি ছোট এবং মনোরম, যেখানে পথচারীরা ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে অতীতের স্মৃতিসাম্প্রতিক জীবনধারা উপভোগ করতে পারেন। শহরটির সাংস্কৃতিক জীবন খুবই সমৃদ্ধ, যেখানে বিভিন্ন সংগীত, নাটকঅভিনয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজন তাদের ঐতিহ্যসাংস্কৃতিক মূল্যবোধ প্রকাশ করে। রেজিয়ো এর সুন্দর জলাভূমিসুন্দর উপকূলীয় অঞ্চল শহরকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর করে তোলে। এই শহরটি অতিথিদের জন্য একটি অভিজাত, শান্ত, এবং ইতিহাসে মোড়ানো গন্তব্য, যেখানে প্রাচীনতাআধুনিকতা একসঙ্গে মিলিত হয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

অ্যাপেনিন পাহাড়ের দৃশ্য

অ্যাপেনিন পাহাড়ের দৃশ্য বাসিলিকাতা অঞ্চলের অপরিহার্য আকর্ষণের একটি। এই পাহাড়ের শিখরগুলি অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যখন আপনি এই অঞ্চলে পৌঁছান, তখন আপনি অনুভব করবেন যেন আপনি প্রকৃতির কোলাজের মধ্যে প্রবেশ করেছেন, যেখানে সবুজের গভীরতা এবং পাহাড়ের উঁচু শিখরগুলি একত্রে এক অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করে। এই পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় বনভূমি, গিরি পথ এবং সুউচ্চ চূড়াগুলি পর্যটকদের জন্য এক অনন্য দর্শনীয় স্থান। অ্যাপেনিন পাহাড়ের দৃশ্য কেবলমাত্র সৌন্দর্যই নয়, বরং এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বেও ভরপুর। পাহাড়ের উচ্চতা থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় যে রঙের পরিবর্তন হয়, তা স্থানীয়দের জন্যও একটি অনুপ্রেরণার উৎস। এই দৃশ্যগুলি শিল্পীদের জন্য এক অপূর্ব অনুপ্রেরণা এবং ফটোগ্রাফারদের জন্য এক স্বর্গীয় স্থান। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিভিন্ন পর্যটন ট্রেইল রয়েছে, যেখানে তারা প্রকৃতি ও শান্তির মাঝে হারিয়ে যেতে পারেন। অ্যাপেনিন পাহাড়ের দৃশ্য আসলে প্রকৃতির এক অমোঘ উপহার, যা বাসিলিকাতা অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

মাতার ঘোড়া পার্ক

মাতার ঘোড়া পার্ক একটি অনন্য স্থান যা দর্শকদের প্রকৃতি ও পশুপালনের অনন্য সংমিশ্রণে মুগ্ধ করে। এই পার্কটি মূলত সুপ্রাচীন ঘোড়ার প্রজাতির জন্য বিখ্যাত, যেখানে আপনি প্রাচীন ঘোড়াগুলির ইতিহাস ও বৈচিত্র্য সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবেন। পার্কের পরিবেশ সুন্দরভাবে সাজানো, যা পর্যটকদের জন্য এক শান্ত ও প্রশান্তির স্থান সৃষ্টি করেছে। এখানে দর্শনার্থীরা ঘোড়াগুলির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন, তাদের যত্ন নেওয়ার প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ পান এবং তাদের প্রাকৃতিক জীবনধারা উপলব্ধি করেন। এই পার্কটি বিশেষভাবে পরিবেশের প্রতি মনোযোগী, যেখানে স্থানীয় ও প্রাচীন প্রজাতির ঘোড়াগুলির সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও, পার্কে বিভিন্ন কর্মশালা ও শো অনুষ্ঠিত হয়, যা শিশু ও বড়দের জন্য শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক। মাতার ঘোড়া পার্ক এর মূল উদ্দেশ্য হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা, পাশাপাশি প্রাচীন পশুপালন পদ্ধতিগুলির সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। এই স্থানটি পর্যটকদের জন্য একটি শিক্ষামূলক ও মনোরম অভিজ্ঞতা দেয়, যেখানে তারা প্রকৃতি ও পশুপালনের গভীরতা অনুধাবন করতে পারেন। এক কথায়, এই পার্কটি হল প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক অসাধারণ গন্তব্য, যা তাদের মনে গভীর ছাপ রেখে যায়।

মারমারা ক্যানিয়ন অ্যাডভেঞ্চার

মারমারা ক্যানিয়ন অ্যাডভেঞ্চার হল একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা যা পর্যটকদের জন্য বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য অপরিহার্য। এটি একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের ক্যানিয়ন, যেখানে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং এক অনন্য অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে পারেন। ক্যানিয়নের মধ্যে চলাচল করাটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও, স্নিগ্ধ জল, উঁচু প্রাচীর এবং বিস্ময়কর পাথরের গঠন পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এই এলাকা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হলো বসন্ত এবং গ্রীষ্মের সময়, যখন জল প্রবাহ বেশি থাকে এবং পরিবেশ আরও উজ্জ্বল হয়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়রা এখানে রাফটিং, ট্রেকিং এবং ক্লাইম্বিংয়ের মতো বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশ নিতে পারেন। মারমারা ক্যানিয়ন এর আশেপাশের দৃশ্যগুলি মনোমুগ্ধকর, যেখানে আপনি পাহাড়ের শিখর, সবুজ প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। এছাড়াও, এই এলাকায় স্থানীয় গাইডের সাহায্যে নিরাপদে ভ্রমণ করা যায়, যারা আপনাকে এই প্রাকৃতিক আশ্চর্যের ইতিহাস ও গোপন স্থানগুলি সম্পর্কে জানাবেন। এটি একটি অনন্য পরিবেশ যেখানে প্রকৃতি এবং অ্যাডভেঞ্চার মিলিত হয়, এবং এটি পর্যটকদের জন্য একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। যেকোনো পর্যটক যারা প্রকৃতি ও অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী, তাদের জন্য মারমারা ক্যানিয়ন অ্যাডভেঞ্চার অবশ্যই একটি বেশ ভালো বিকল্প।

ভুজা দে লা লুনা দর্শনীয় স্থান

ভুজা দে লা লুনা দর্শনীয় স্থানটি বোসিসে অঞ্চলের এক অনন্য রত্ন, যা তার চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এই স্থানটি মূলত একটি সুন্দর পাহাড়ি এলাকা, যেখানে দর্শকরা canyons এবং জলপ্রপাতের মাঝ দিয়ে হাঁটতে পারেন, যা প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার। ভুজা দে লা লুনা এর দৃশ্যপট অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর, খাসতরু পাহাড়ের চূড়া থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য মনোযোগ আকর্ষণ করে। এখানে পর্যটকেরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন, যেখানে হাইকিং, পিকনিক এবং ফটোগ্রাফির জন্য অসংখ্য সুবিধা রয়েছে। স্থানীয় গ্রামগুলোতে গেলে, আপনি প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হতে পারবেন, যেখানে স্থানীয় হস্তশিল্পের দোকান ও রেস্তোরাঁগুলোতে মূলত স্থানীয় খাবার এবং পণ্য পাওয়া যায়। এই দর্শনীয় স্থানটি শুধুমাত্র প্রকৃতি প্রেমীদের জন্যই নয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনুরাগীদের জন্যও এক অসাধারণ গন্তব্য। এছাড়াও, ভুজা দে লা লুনা এর পরিবেশ পরিবেশের জন্য খুবই উপযুক্ত, যেখানে আপনি প্রাকৃতিক শান্তি এবং উত্তেজনাপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চার একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন। এটি অবশ্যই কোনও পর্যটক স্মৃতি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যা বেসিলিকাটার সৌন্দর্য্যকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেয়।

পুওলির ঐতিহাসিক কেন্দ্র

পুওলির ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, যা পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা উপহার দেয়। এই অঞ্চলের পুরনো শহরটি, তার প্রাচীন গেট, প্রাচীন কাঠামো এবং খাঁড়ি রাস্তার জন্য বিখ্যাত, যেখানে আপনি সময়ের ইতিহাস অনুভব করতে পারেন। পুওলির প্রাচীন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ হল তার প্রাচীন দুর্গ এবং প্রাসাদগুলি, যেগুলি মধ্যযুগের স্থাপত্যশৈলীর সুন্দর উদাহরণ। এই অঞ্চলে আপনি দেখতে পাবেন প্রাচীন চ্যাপেল, মন্দির এবং পোর্টাল, যা বিভিন্ন ইতিহাসের স্মারক। পাশাপাশি, পুওলির ঐতিহাসিক কেন্দ্রের বাজারগুলোতে স্থানীয় হস্তশিল্প, সোনার কাজ এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকান রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই স্থানগুলোতে ঘুরে দেখলে আপনি অতীতের জীবনধারা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং লোকসংস্কৃতি এর গভীরতা অনুভব করতে পারবেন। পুওলির ঐতিহাসিক কেন্দ্রের ভেতরে হাঁটলে, আপনি প্রাচীন গথিক এবং বারোক স্থাপত্য, পাশাপাশি ছোট ছোট ক্যাফে এবং বসার জায়গা পাবেন, যেখানে আপনি স্থানীয় খাবার উপভোগ করতে পারেন। এই সব মিলিয়ে, পুওলির ঐতিহাসিক কেন্দ্র একটি প্রামাণ্য স্থান, যেখানে ইতিহাসের ছোঁয়া এবং আধুনিক জীবনের সংমিশ্রণ একসাথে অনুভব করা যায়।

মারগানো দ্বীপের বিচ

মারগানো দ্বীপের বিচ একটি অপরূপ সৌন্দর্যের স্থান, যা পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই দ্বীপের বিচ তার স্বচ্ছ জল, সাদা বালির সমুদ্রতটে এবং শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। যখন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় এই বিচে যান, তখন আপনি অনুভব করবেন এক অনন্য শান্তি ও প্রশান্তির অনুভূতি। এর জল খুবই পরিষ্কার, যেখানে আপনি সহজে ডুবো জীবন দেখতে পারেন এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক জীবের দৃষ্টিতে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এই বিচের আশেপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এছাড়াও, মারগানো দ্বীপের বিচ বিভিন্ন জলক্রীড়া ও অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত, যেমন স্নরকেলিং এবং কায়াকিং, যা পর্যটকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে। দ্বীপের পরিবেশ খুবই শুষ্ক ও সূর্যালোকপ্রদ, ফলে এখানে বেশিরভাগ সময়ই সুন্দর আবহাওয়া থাকে। স্থানীয় খাওয়াদাওয়া ও সাংস্কৃতিক পরিবেশও এই বিচকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে, কিছু সময়ে এই বিচ খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তাই আগে থেকে পরিকল্পনা করে যাওয়া উত্তম। মোটের উপর, মারগানো দ্বীপের বিচ একটি অসাধারণ স্থান, যেখানে আপনি প্রকৃতি, শান্তি ও জলক্রীড়ার সমন্বয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। 8/10 রেটিং এই স্থানটির জনপ্রিয়তা ও আকর্ষণের প্রমাণ।

লুকোশনের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান

বেসিলিকাটা অঞ্চলে লুকোশনের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থান। এই প্রাচীন অঞ্চলটি তার সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত, যেখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছেন। এই তীর্থস্থানগুলি প্রায়ই পাথুরে স্থাপনা ও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে একত্রিত হয়ে এক অনন্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। যেমন, মন্টেসেলভিনো শহরের পুরাতন চ্যাপেল এবং গীর্জাগুলো স্থানীয় মানুষের আত্মা ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে। এই স্থানগুলোতে নিয়মিত উৎসব ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা ও সংস্কৃতি চর্চা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি, এই তীর্থস্থানগুলো পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যারা ইতিহাসের ধারা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে ডুবে যেতে চান। পরিশেষে, লুকোশনের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কেন্দ্র নয়, বরং এটি একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি, যা স্থানীয় মানুষের জীবনধারার সাথে গভীরভাবে জড়িত। পর্যটকদের জন্য এই স্থানগুলো ইতিহাসের স্বাক্ষর ও আধ্যাত্মিক অনুভূতির এক অনন্য সংমিশ্রণ প্রদান করে, যা ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরো গভীর ও স্মরণীয় করে তোলে।

লুকোশনের স্থানীয় খাবার

বাসিলিকাটার স্থানীয় খাবারগুলি তার ঐতিহ্য এবং স্বাদে অনন্য। এই অঞ্চলের খাদ্য সংস্কৃতি মূলত ভূমধ্যসাগরীয় এবং মাটির স্বাদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। পেস্টো ডেল পান্তানো, যা সাধারণত পাস্তা বা ভাতের সাথে পরিবেশিত হয়, এখানকার একটি জনপ্রিয় ডিশ, যা তাজা বুনো ঋতুকালীন গাছপালা, অলিভ অয়েল, রসুন এবং পনির দিয়ে তৈরি। এছাড়াও, অলিভ অয়েল এর মান এখানকার বিশেষ গুণমানের জন্য বিশ্বে প্রসিদ্ধ, যা কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। পেপারডেল্লা নামে একটি জনপ্রিয় পাস্তা, যা আলু, পনির এবং বিভিন্ন মশলার সঙ্গে পরিবেশিত হয়, এখানকার রন্ধনপ্রণালীর অন্যতম অংশ। অ্যাপিয়ানো বা মাংসের স্টু এই অঞ্চলের হৃদয়স্পর্শী খাবার, যেখানে স্থানীয় মাংস এবং তাজা সবজি ব্যবহার করে স্বাদে ভরপুর একটি সুস্বাদু ডিশ তৈরি হয়। পাইন অ্যাকর্স বা শসা এর মতো স্থানীয় ফলমূল ও সবজি এখানকার খাবারের স্বাদে গুণগত মান যোগায়। এই সব খাবারগুলি কেবল স্বাদে নয়, বরং সেখানে থাকা ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন। বাসিলিকাটার খাদ্য সংস্কৃতি তার ঐতিহ্যবাহী উপকরণ এবং অনন্য রন্ধনশৈলীর জন্য পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই অঞ্চল ভ্রমণে গেলে, স্থানীয় খাবারগুলি অবশ্যই ট্রাই করবেন, কারণ এগুলি এখানে কেবল খাবার নয়, এটি হলো ভিন্ন এক সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা।